Trust easyecotour.com
A World of Endless Travel Possibilities
Special Packages and Deals
The World at Your Fingertips
Arunachal Pradesh
Unforgettable Memories
সকাল গড়িয়ে দ্বিপ্রহর। পুজোয় দেরি হয়ে যাচ্ছে। বিচলিত হলেন ঋষি জমদগ্নি। জল আনতে গিয়ে স্ত্রী রেণুকার এত দেরি হচ্ছে কেন? দৈব দৃষ্টিতে স্পষ্ট দেখতে পেলেন পথে রাজা চিত্রনাথের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে স্ত্রীর এই বিলম্ব। ক্রোধে কাঁপতে থাকেন জমদগ্নি। রেণুকা ঘরে ফেরবার মাত্র পুত্রদের হুকুম দিলেন মাকে হত্যা করার জন্য। পাঁচ পুত্রের মধ্যে চার জনই এই নির্মম কাজে সম্মত হলেন না। এগিয়ে এলেন কনিষ্ঠ পুত্র পরশুরাম। কুঠারের এক কোপে শিরশ্ছেদ করেন মা রেনুকার। কিন্তু মাতৃ হত্যার পাপে তার সেই হাতের কুঠার হাতেই আটকে গেল। ছেলের প্রতি প্রসন্ন হয়ে পিতা জমদগ্নি তাকে বর চাইতে বলেন। আরো পাঁচটি বরের সাথে পরশুরাম চাইলেন রেনুকার পুনর্জন্ম। তবুও পাপমুক্ত হলো না। হাতে আটকে থাকা কুঠার বিযুক্ত করা গেল না। পিতার আদেশে বর্তমানের লোহিত জেলায় অবস্থিত ব্রহ্ম কুন্ডের পার খনন করে তাতে স্নান করার পর মাতৃহত্যার পাপ থেকে তিনি মুক্ত হন এবং তার হাত থেকে কুঠারটি বিচ্ছিন্ন হয়। এবং তাই আজও এখানে মকর সংক্রান্তির দিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই পরশুরাম কুন্ডে ডুব দিয়ে তাদের জন্ম জন্মান্তরে সমস্ত পাপ স্খলন করতে। আজ চলুন আপনাদের নিয়ে যাই সেই পবিত্র কুন্ডের শহর অরুণাচল প্রদেশের তেজুতে।
সুন্দরী পাহাড়ি নদী, প্রাচীন হ্রদ, চোখ জুড়োনো কমলা বাগানের মোহময়তায় আচ্ছন্ন মহাভারতের সমকালীন সরলপ্রাণা মিশমি উপজাতিদের বাসস্থান এই সুদৃশ্য উপত্যকাটি।
আপনার সকাল শুরু হোক ৪৬৫৮ ফুট উচ্চতায় সতী ও লোহিত নদীর সন্ধিঃস্থল অপরূপ ডং এ। সূর্যোদয়ের মায়াবী রশ্মি ভারতবর্ষে সবার আগে আলোকিত করে ডং কে। "ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহষ্মি দিবাকরম্॥" - মন্ত্রে ঐ পরম মুহূর্তে সূর্যকে আবাহন করে পরিপূর্ণ মনে অল্প ট্রেকিং করে পৌঁছে যান আরো ৩৪২ ফুট ওপরে অবস্থিত গ্লো লেকে।
প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এর পরিধি নিয়ে এই গ্লো লেক। স্বচ্ছ জলের উপর কে যেন যত্ন করে নীল চাদর বিছিয়ে রেখেছে। অদূরে দিগন্ত বিস্তৃত তুষার আবৃত মগ্ন হিমালয়। এ যেন গভীর স্বর্গীয় অনুভূতি। মুহুর্তে ভুলে যাবেন যে আপনি পৃথিবীর বুকেই দাঁড়িয়ে আছেন।
সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার জন্য আপনি হাওয়া ক্যাম্পেও যেতে পারেন। তেজু থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরে এই হাওয়া ক্যাম্প থেকেই সমগ্র লোহিত উপত্যকাকে ভীষণ ভালো ভাবে দেখা যায়।
বিকেলে বাড়ির ছোটদের নিয়ে চলে যান তেজু পার্কে। বাচ্চারা যখন বিভিন্ন অ্যামিউজমেন্ট রাইডের প্রাঞ্জল আনন্দে মাতোয়ারা আপনি এক বুক তাজা শ্বাস নিয়ে আপন গতিতে হেঁটে বেড়ান পার্কটিতে। ব্যস্ততার পিছুটান এড়িয়ে প্রকৃতির বুকে সামান্য এই পদচারণা অসামান্য এক অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে।
২৩ একর জমির উপর তেজুতে একটি বোটানিক্যাল গার্ডেনেও আছে। যেখানে আপনি এখানকার উদ্ভিদ জগতের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। এরমধ্যে অনেকগুলি গাছই কিন্তু খুব দুর্লভ। বোটানিক্যাল গার্ডেনের কর্মরত মানুষদের থেকে জেনে নিন এই পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গমতার মধ্যে কিভাবে সংরক্ষিত করা হয় লুপ্তপ্রায় গাছগুলিকে।
তেজুর ডিস্ট্রিক্ট মিউজিয়াম অ্যান্ড ক্রাফ্ট সেন্টার ও একটি অত্যন্ত দর্শনীয় স্থান। এখানকার সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে এই অঞ্চলের উপজাতিদের প্রাচীন পান্ডুলিপি অস্ত্র পোশাক অলংকার এবং পেন্টিং। আদিম মিশমি উপজাতির সাংস্কৃতিক ও নান্দনিক উৎকর্ষ দেখে আপনি চমকৃত হবেনই।
অরুণাচল মানেই হল জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ বনাঞ্চল। তাই তেজুতে গেলেই যে কোনো পর্যটক ডি' এরিং অভয় অরণ্য না দেখে ফেরেন না। হাতি, হরিণ বুনো শুকর এবং অসংখ্য পরিযায়ী পাখিদের পাশাপাশি আপনার সাক্ষাৎ হয়ে যেতে পারে স্বয়ং বাঘ বাবাজির সাথেও। তাই এবার শীতে প্রচলিত ভ্রমণ স্থান গুলোর ইঁদুর দৌড়ে না গিয়ে সরাসরি চলে আসুন তেজু। নিয়ে যান বড়াই করে লোককে বলার মত অনন্য অদ্বিতীয় অভিজ্ঞতা.....© 2021, Easy Eco Tour. All rights reserved...#tezu #arunachalpradesh #incredibleindia
North Bengal
An Experience Like No Other
" বাতায়নে রবে বাহু মেলি
বসন্তের সৌরভের পথে
মহানিঃশব্দের পদধ্বনি
শোনা যাবে নিশীথ জগতে "
রবি ঠাকুরের প্রতিটি শব্দের মূর্ছনায় থাকে অনুভবের অরুণোদয়, ঠিক যেমন নির্মেদ অলংকৃতা মৈত্রেয়ী জীবন্ত ক্যানভাস হয়ে ধরা দেয় প্রকৃতি রূপে।আজ আমরা আপনাদেরকে এমনি একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে নিয়ে যাব যেখানে প্রকৃতির ছবি ভ্যান গগের চিত্রের থেকেও প্রাণবন্ত, উজ্জ্বল।আমাদের আজকের গন্তব্য দার্জিলিং জেলার অফবিট পর্যটন কেন্দ্র সিটং এ।
ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা মোটামুটি চার হাজার ফুট। কিন্তু ঠান্ডা সে তুলনায় কিছু বেশি কারণ এটা একটা বৃহৎ ও ছড়ানো উপত্যকা। চারপাশ খোলা। পাহাড়ের ধাপে ধাপে সাজানো ছোট ছোট বাড়ি । পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে এসেছে এক নিঝুম অরণ্যভূমি, মহানন্দা স্যাংচুয়ারি। গ্রামে ঢুকতেই একরাশ হিমেল বাতাস আপনাদের স্বাগত জানাবে। বড় বড় পাথুরে বোল্ডারের ফাঁক দিয়ে বয়ে এসেছে তিরতিরে এক পাহাড়ি দামাল নদী।রূপসী এই নদীটির নাম রিয়াং।
শিলিগুড়ি থেকে সিটং যাওয়ার তিনটি পথ রয়েছে। প্রথমক্ষেত্রে সেবক, কালিঝোরা, লাপাংচার হয়ে যায়। দূরত্ব মাত্র ৫৫ কিমি। আর একটি পথ হল শিলিগুড়ি থেকে মংপু হয়ে সিটং সেক্ষেত্রে দূরত্ব হবে ৭৫ কিমি। তৃতীয়টি কার্শিয়াং বাগরা হয়ে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় সিটং, সেক্ষেত্রে দূরত্ব হবে ৮০ কিমি। তবে সহজ করে বললে দার্জিলিং থেকে সিটং - এর দূরত্ব ৩৫ কিমি/ এন জে পি থেকে ৩২ কিমি।
এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আনাচ - কানাচ রঙিন ফুলের পাশাপাশি কমলালেবুর ভারে ঝুলে পড়া গাছের বাহারে সজ্জিত। সবুজ পাহাড়ে গাঁদা রঙা রোদ জাপটে ধরে কমলার কোমল শরীর। তাই সিটং- কে বলা হয় "অরেঞ্জ ভিলেজ"। পাহাড়ের মাথায় মুকুটের মতো শোভা পাচ্ছে সুপ্রাচীন সুন্দর গির্জা। এছাড়াও রয়েছে যোগী ঘাট, নামথিং লেক। পাইন জঙ্গলে ঘেরা এই নামথিং লেক। পথের দুধারে ছোট ছোট চায়ের বাগান সৌন্দর্যের অন্য মাত্রা এনে দেয়। সিটং -এর বনে অচিন পাখিদের অবাধ আনাগোনা। রাতে এখানে অদূষিত আকাশ জুড়ে সুপ্রভ নক্ষত্রের মেলা।
এখানে প্রতি পলকে মনের পাতায় অসংখ্য ইচ্ছের আঁকিবুকি গুলো সঠিক ঠিকানা খুঁজে পায়। বুনো বাসনার প্রেম আসে কমলালেবুর ঘ্রাণে। জুন মাসের প্রথমার্ধেই বৃষ্টি নামে পাহাড়ি বাতাসে, মিশে যায় স্বপ্ন সাবলীল নীলে। এক পশলা সজীবতা ভুলিয়ে দেয় যাপিত বাস্তবতা, লাভ-ক্ষতির জটিল বিশ্লেষণ। এখানে অলিগলিতে থাকেনা অস্থিরতা, থাকেনা বেদনার সমাগম। শুধু বুনোফুল, প্রজাপতি আর পাখিদের কলরবে দ্বিতীয়বার আসার বাহানা খুঁজতে হয়। খামখেয়ালি সময় কে বাক্সবন্দি করে, তিস্তার স্মৃতিতে, পুরোনো সুরে, ছেড়ে আসা কাব্যে একটা হলুদ পাখির অলস প্রতীক্ষায়। নিত্যদিনের এলোমেলো ভাবনায় সেই হলুদ পাখিটি রয়ে যায় অমলিন।
অদম্য সবুজের ঘেরাটোপে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে নিষ্কলুষ অভ্রভেদী কাঞ্চনজঙ্ঘা। মেঘ এখানে সহচরীর মত। সময় গতিহীন।
অফুরন্ত অবসরের মাঝে খুঁজে পান নিজেকে। পাহাড়ের ঢাল ধরে ওঠানামার ফাঁকে উঁকি দিক ফেলা আসা শৈশব। সিটং এলে আপনি হয়ে উঠবেন অন্য এক মানুষ। কবি, প্রেমিক কিংবা দার্শনিক।
এখানকার জীবন যাপন খুব অনাড়ম্বর সহজ সরল। মানুষজনের আন্তরিক আতিথেয়তাও অতুলনীয়। শহুরে কৃত্তিমতার লেশমাত্র নেই। এদের অতিথিবৎসলতা নিশ্চিতভাবে আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
দূদিনের ছোট্ট ছুটির ফাঁকেই চলে আসুন সিটিং এ। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারীর মাঝিমাঝি এলে গাছে গাছে থাকে কমলা আর পরিযায়ী পাখির ভিড়। সিটিং এ এসে আপনার জীবনের কিছু মুহূর্ত হোক আবাহনী, কিছু হোক মুক্তি, অবিস্মরনীয় প্রকৃতির অসামান্য আস্বাদে.....© 2021, Easy Eco Tour. All rights reserved. #northbengaltourism #kurseong #Dooars #Darjeeling #kalimpong #incredibleindia
See Translation
Rajasthan
Your Adventure Awaits
রাজস্থান মানেই রাজপ্রাসাদ। আর প্রাসাদ বললেই চোখে ভেসে ওঠে বিশাল কোন স্থাপনা, যা সাধারণত রাজা- মহারাজা, রানী- মহারানীদের নিবাস স্থল। কিন্তু নামে ওয়াটার প্যালেস হয়েও এমন এক প্রাসাদ আছে যা কিনা সেই অর্থে সৃষ্ট বা ব্যবহৃত নয়। শুধুমাত্র শিকার করার শখ থেকেই কোন মহারাজা যে এক বিশাল মহল সৃষ্টি করতে পারেন সেটা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
সেই অবিস্মরণীয় স্থাপত্য কে উপলব্ধি করতে হলে চলুন আজ Easy Eco Tour এর সাথে আমরা ঘুরে আসি জয়পুরের 'জলমহল' নামে খ্যাত সেই ওয়াটার প্যালেসটি...।
জয়পুর - আমের সড়কের পাশে নাহারগড় পাহাড়ের পাদদেশে 'মান সাগর' লেকের ঠিক মাঝখানে দেখা মেলে এই দৃষ্টিনন্দন প্রাসাদের। দুর্ভিক্ষের কারণে যখন জয়পুরে জলকষ্ট দেখা দিয়েছিল তখন সেই সময়কার মহারাজা রাজা মানসিংহ এই বিশাল লেকের সৃষ্টি করেছিলেন প্রজাদের জন্য। ৩০০ একর জায়গা জুড়ে এই লেক যার এক পাশে পাহাড় আরেক পাশে শহর... সে যেন এক অবাক করা সৌন্দর্য্য।
অষ্টাদশ শতকে মহারাজা মাধো সিং শুধুমাত্র হাঁস বা পাখি শিকারের জন্য এই জলমহল তৈরি করেছিলেন। সত্যি কি বিচিত্র এই রাজা মহারাজাদের শখ-আহ্লাদ। মাঝেমধ্যেই তিনি নৌকায় করে এখানে হাঁস শিকারের জন্য আসতেন।
গাঢ় নীল রংয়ের লেকের জলের মাঝে গোলাপী বেলেপাথরে তৈরি এই অনিন্দ্য সুন্দর মহল তার অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে যেন জল পরীর মতো ভেসে আছে। রাজপুত ও মুঘল এই দুই ঘরানার মেলবন্ধনে সৃষ্ট এক দুর্লভ শিল্পের ছোঁয়া পাওয়া যায় এই জলমহলে।
চারপাশে জলবেষ্টিত হওয়ায় এই মহলকে একতলা বলে মনে হলেও বাস্তবে এটি পাঁচ তলা। নিচের চারটি তলাই জলের নিচে ডুবে আছে। এখানে থাকার কোনো কামরা নেই, আছে এক বিশাল চত্বর, আর আছে বাঁকানো সিঁড়ি সহ একটি বাগান। ছাদে আছে অপরূপ কারুকার্যখচিত বিশাল এক চারকোনা ছাতা। হয়তো পাখি শিকারের সময় রোদের উত্তাপ থেকে বাঁচার জন্যই এই ছাতা নির্মিত। এখানে বসে রাতের ঝলমলে জলমহল কে উপভোগ করার অনুভূতি সম্পূর্ণই আলাদা।
পক্ষী প্রেমীদের জন্যও এ যেন এক ভালোলাগার স্বর্গরাজ্য... কত রং বেরংয়ের নাম জানা অজানা পাখিদের সমারোহ।
রাজপুত ঘরানার শৈল্পিক ভাবনার ছোঁয়ায় তৈরি নৌকোয় চড়ে এই লেকের জলে নৌকা বিহার... উফ্ কি যে রোমান্টিক অনুভূতি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রায় তিন বছর হল অনিবার্য কারণবশত এই নৌকা বিহার বন্ধ আছে।
প্রায় নয় কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ওয়াক ওয়ে ও বাগান দিয়ে ঘেরা এই লেক। এর সামনেই রাজস্থানি কারুকার্য খচিত পোশাক, গয়না, জুতো, গৃহসজ্জার নানা মনোমুগ্ধকর দ্রব্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। এখানে উটের পিঠে চড়ে ভ্রমণের সুবিধাও পেয়ে যাবেন।
চিত্র গ্রাহকদের জন্যেও এই জলমহল এক কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানি রাজপুত পোশাকে জলমহলের আঙিনায় ছবি তুলে রাজস্থানের স্মৃতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পারেন আজীবন।
রাজস্থানের রাজকীয় সুষমা মিশে আছে জয়পুরের জলমহলে....© 2021, Easy Eco Tour. All rights reserved. #rajasthantourism #jaipur #incredibleindia
1 hr
299.99 Indian rupees1 hr
299.99 Indian rupees1 hr
299.99 Indian rupees